তুলসী পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন


 তুলসী পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা সেভাবে কেউ জানিনা। তাই আজকের পুরো আর্টিকেলটি তুলসী পাতা নিয়ে আলোচনা করব। আর তুলসী পাতার কি কি কাজে লাগে সে বিষয়ে জানাবো।

তুলসী-পাতার-১০-টি -উপকারিতা-ও-অপকারিতা

তুলসী পাতার গুণাবলী সম্পর্কে অনেক মানুষের অজানা। এতে রয়েছে আন্টি ইনফ্রেমেটরি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট মারাত্মক সব রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যা আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক উপকারি। তাহলে চলুন জেনে আসি তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

পেজ সূচিপত্রঃ তুলসী পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

তুলসী পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

তুলসী পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো। তুলসী পাতায় রয়েছে পুষ্টি উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিই মেটরি গুণ যা আমাদের শরীরে সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তবে প্রতিটি উপাদানের মধ্যে তুলসী পাতার ব্যবহার ক্ষেত্রে কিছু সতর্ক করা প্রয়োজন।

তুলসী পাতা প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থ্যসেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুলসী পাতা আমরা শুধু খেতেই পারবো না এটাই আমরা রূপচর্চার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি। বিভিন্ন ত্বকের সমস্যায় ব্যবহার হয়ে থাকে এই তুলসী পাতা। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় তুলসী পাতাকে একটি অমূল্য ঔষধি গাছ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পাতার বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আন্টি ইনফর্মেটরি এবং এন্টি মাইক্রোভিয়ার গুণাবলী শরীরে স্বাস্থ্যের উন্নয়নের সহায়তা করে।

তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং যা আমাদের শরীরে সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাহলে চলুন জেনে আসি তুলসী পাতা উপকারিতা বিষয়।

সর্দি কাশি দূর করেঃ তুলসীতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যা অ্যান্টিভাইরাল উপাদান সর্দি কাশি এবং শ্বাস প্রান্তের সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে।

প্রদাহ হ্রাস করেঃ তুলসীর এন্টি ইনফর্মেটরি উপাদান প্রদাহ এবং ফোলা রাস করে যা আথ্রাইটিস ও অনন্য প্রদাহ জনিত রোগের উপশমে সহায়ক। তুলসীর রস দিনে এক থেকে দুইবার পান করলে প্রদাহ কমে।

আরো পড়ুনঃ লালশাকের গুনাগুন ও উপকারিতা

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ তুলসীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সি এবং ড্রিংকদের ইউনিয়ন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। হলে সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হয়। তুলসী পাতার চা বা তুলসী রস পান করলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়।

এলার্জি প্রতিরোধ করেঃ তুলসিতে থাকা অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান এলার্জির প্রক্রিয়া কমায়। যেমন হার্ড শিতে সকালে এলার্জি তুলসী পাতা বা রস নিয়মিত খেলে অ্যালার্জির উপশম হয়।

শ্বাসকষ্ট উপশম করেঃ তুলসীর এন্টি অ্যাজমাটিক গুনাগুন শ্বাসনানির প্রদাহ কমিয়ে শ্বাসকষ্ট উপশম করতে সহায়তা করে। তুলসীর রস খালি পেটে পান করা যেতে পারে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ তুলসীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রেখে কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ উপাদান রক্তে শর্করা মাত্র নিয়ন্ত্রণের সহায়ক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। উপাদান বাড়িয়ে রক্তের সহকারে মাথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ব্রণ এবং ত্বকের সমস্যার সমাধানেঃ তুলসীর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টিনফেমেটরি উপাদান ব্রণ দূর করতে এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

তুলসী পাতার অপকারিতা

তুলসী পাতার অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতা হতে পারে বিশেষ করে অতিরিক্ত ব্যবহার বা দীর্ঘমেয়াদি সেবনের সময়। কিছু মানুষের শরীরে তুলসীর প্রতিক্রিয়া এলার্জি রক্তচাপের সমস্যা বা অন্যান্য দেখা দিতে পারে।

  • অতিরিক্ত তুলসী পাতার ব্যবহার যকৃতের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং লিভার ফাংশনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • কিছু মানুষের তুলসী পাতার প্রতি অ্যালার্জি হতে পারে যা ত্বকের র‍্যাশ, চুলকানি বা এলার্জি লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।
  • তুলসির পাতা উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপ উভয়কে প্রবাহিত করতে পারে, তার হার্টের সমস্যা যাদের আছে তারা সতর্কতা মেনে খাবেন।
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য তুলসী পাতার অতিরিক্ত ব্যবহার নিরাপদ নয় কারণ এটি কন্ট্রাকশন এবং গর্ভপাতের ঝুকি বাড়াতে পারে।
  • তুলসী পাতা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করতে পারে যা রক্ত চলাচলের সমস্যা আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সময় সৃষ্টি করতে পারে।
  • তুলসীর পাতার ব্যবহারে রোগ যেমন ঠান্ডা লাগা বা সর্দি কাশি সমস্যা হতে পারে।
  • তুলসী পাতার সঠিক পরিমাণে ব্যবহারের অভাবে কিছু লোকের হজমের সমস্যা হতে পারে।
  • তুলসীর পাতা সরাসরি ত্বকে ব্যবহারের ফলে তোকে অ্যালার্জি বা চুলকানি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হজম শক্তি ভালো হয় এবং মানসিক চাপ কমে। এছাড়াও তুলসীপাতা রক্তে শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে কমাতে এবং ত্বকের সংক্রমণ ছাড়াতে সাহায্য করে। খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে যে উপকার গুলো পাওয়া যায় তা নিচে দেওয়া হলঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ তুলসী পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আন্টিন ফরমেটরি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে যার শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।
হজম শক্তি উন্নত করাঃ তুলসী পাতা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং এসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
মানসিক চাপ কমানোঃ তুলসী পাতায় উপস্থিত উপাদান মানসিক চাপ কমাতে এবং মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
রক্তের শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণঃ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তুলসী পাতার রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসঃ তুলসী পাতার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে এবং হৃদরোগ যন্ত্র কে সুস্থ রাখতে সহায়ক।
ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধঃ তুলসী পাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করেঃ তুলসী পাতা শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যদি আপনি নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে চান তবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা তুলসী পাতার রস খেতে পারেন। তবে কারো কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে বা বেশি পরিমাণে তুলসী পাতা খেতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ানোর জন্য প্রথমে কয়েকটি তুলসীপাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এরপর এগুলি বেটে বা রস করে মধুর সাথে মিশে খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়া গরম পানিতে তুলসী পাতা ফুটিয়ে সেই পানি মধু দিয়ে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ানোর নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ
উপকরণঃ তুলসী পাতার রসের সাথে মধু আদা বাটা বা সামান্য হলুদ মিশে খাওয়ানো যেতে পারে।
পরিমাণঃ শিশুদের অল্প পরিমাণের তুলসী পাতা খাওয়ানো উচিত। এক থেকে দুইটি পাতা বা এক চামচ রসের বেশি না খাওয়ানো ভালো।
খাওয়ানোর সময়ঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সতর্কতাঃ যদি শিশু কোন শারীরিক সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তুলসী পাতা খাওয়ানো উচিত। তুলসীপাতা শিশুদের সর্দি কাশি গলাব্যথা জ্বর ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

তুলসী পাতা  কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হজম শক্তি উন্নত করতে মানসিক চাপ কমাতে এবং শ্বাসকষ্ট ও সর্দি কাশি আরাম দিতে পারে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা নিচে দেওয়া হলঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ তুলসী পাতায় থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে যার শরীরের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত করে।
হজম শক্তি উন্নত করেঃ প্রতিদিন তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং শরীর খাদ্য থেকে পুষ্টি উপাদান আরো ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
মানসিক চাপ কমায়ঃ তুলসীর ভিটামিন সি এবং অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
শ্বাসকষ্ট ও সর্দি কাশিতে আরামঃ তুলসী পাতার অ্যান্টিভাইরাল এবং আন্টিনফর্মেটরি গুণাবলী ঠান্ডা ও কাশি এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারীঃ তুলসী পাতা ব্রণের সমস্যা কমাতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে তার রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতা সাধারণত সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খাওয়া ভালো। তবে যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার

ত্বকের যত্নে তুলসী পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ব্রণ, দাগ এবং শুষ্ক ত্বক সহ বিভিন্ন ত্বকের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। তুলসী পাতা অ্যান্টি প্র্যাকটিক এবং আন্টি ইনফর্মেন্টরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। যা তোকে পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। 
ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহারের কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
ব্রণ এবং দাগ দূর করতেঃ তুলসী পাতা বেটে ব্রণের উপর লাগালে ব্রণ দ্রুত সেরে যায় এবং দাগ হালকা হয়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেঃ তুলসী পাতা, নিমপাতা, চন্দন গুড়ো এবং গোলাপজল মিশে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
শুষ্ক ত্বক নরম করতেঃ তুলসী পাতার পেস্ট বা গুঁড়ো টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে লাগালে শুষ্ক ত্বক ময়শ্চেরাইড হয়।
ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতেঃ তুলসী পাতা বেটে লাগালে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ কমে যায়।
টোনার হিসেবেঃ তুলসী পাতা ফুটিয়ে সেই জল টোনার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার থাকে।
কালো দাগ দূর করতেঃ তুলসী পাতা ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগালে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়।
খুশকি দূর করতেঃ তুলসী পাতাও আমলকির গুড়ো সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি দূর হয়।
এইভাবে তুলসী পাতা ব্যবহার করে আপনি ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পারেন।

তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা

তুলসী পাতার চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, মানসিক চাপ কমাতে,। হজম ক্ষমতা উন্নত করতে এবং ঠান্ডা কাশি সারাতে সাহায্য করে তুলসী পাতায় থাকা এন্টিঅক্সাইড ইনফরমেটরি উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তুলসী পাতার চায়ের কিছু বিশেষ উপকারিতা নিচে দেওয়া হলঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ তুলসী পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমায়ঃ তুলসী টা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়ক।
হজম ক্ষমতা উন্নত করেঃ এটি হজম প্রক্রিয়াকে। উন্নত করে এবং পেটের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে।
সর্দি কাশি উপশমঃ তুলসি চা সর্দি, কাশি ও গলাব্যথার জন্য একটি পরিচিত ঘরোয়া প্রতিকার।
ত্বকের স্বাস্থ্যঃ তুলসীপাতা ত্বকে ময়শ্চারাইস করে এবং ত্বককে নরম করে।
রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ তুলসী রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়ক যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ তুলসীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
তুলসীর চা পানের জন্য, প্রথমে কিছু তুলসী পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে নিন এরপর এই পানি থেকে মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খাওয়া নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে তুলসী পাতা খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সেই সাথে অনন্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যদি গর্ভবতী মহিলারা রক্তচাপ কমানোর জন্য বা ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণ করেন তাহলে তুলসী যুক্ত তুলসীর পরিপূরক গ্রহণের আগে একজন ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ উচিত। কারণ এটি রক্তচাপ এবং রক্তের শর্করা পরিমাপ কমাতে সাহায্য করে। সাধারণত মাঝারি পরিমানে তুলসী খাওয়া নিরাপদ যদিও কিছু স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং ওষুধের জন্য যত্ন এবং সতর্কতা প্রয়োজন। 
এতে ভিটামিন ই রাইবন ভিটামিন এ ভিটামিন সিয়াম ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ বলে মনে হয়। এক থেকে দুইটি তাজা তুলসী পাতা খেতে ভুলবেন না। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তাছাড়া একজন গর্ভবতী মহিলার কোন কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

শেষ কথা/তুলসী পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

তুলসী পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে পুরো আর্টিকেলে বলা হয়েছে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। তুলসী পাতার অনেক উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। এবং খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিষয় জানতে পেরেছেন।
এমন আরো তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর তুলসী পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা আরো এমন তথ্য পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এবং সাথে থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এনি টিপস বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url