করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে কেউ জানিনা। তাই চলুন আজকের পুরো আর্টিকেলটি করলা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।করলায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের করলা।
আমাদের উপমহাদেশে পরিচিত একটি তিতা স্বাদের সবজি। অনেকেই এর তিতকুটে স্বাদকে অপছন্দ করেন, কিন্তু যারা এর প্রকৃত উপকারিতা জানেন, তারা করলাকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখেন। করলা শুধু সবজি নয়, এটি এক প্রকার প্রাকৃতিক ওষুধ। তবে করলার যেমন অনেক গুণ, তেমনি কিছু সীমাবদ্ধতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-ও রয়েছে। বিরুদ্ধে দেহকে সুরক্ষা দেয়। আরো অনেক কিছু জানতে পুরো আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- করলা খাওয়ার উপকারিতা
- করলা খাওয়ার অপকারিতা
- করলা খাওয়ার নিয়ম
- করলার পুষ্টিগুণ
- খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা
- করলার জুস বানানোর নিয়ম
- ওজন কমাতে করলা কিভাবে খাবেন
- রূপচর্চায় করলার ব্যবহার
- শেষ কথা/করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা কেউ জানিনা।স্বাদে তিতা হলেও করলা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এক অনন্য সবজি। প্রাচীনকাল থেকেই করলা নানা রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি শুধুমাত্র একটি খাদ্য উপাদান নয়, বরং একটি প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হয়। করলার ইংরেজি নাম Bitter Gourd বা Bitter Melon, আর এটির বৈজ্ঞানিক নাম Momordica charantia। এর তিক্ততা অনেকের জন্য বিরক্তিকর হলেও, যারা এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন, তারা এটি স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখেন।
বিশেষ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলা একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক উপায়। তাছাড়া করলা হজমশক্তি বাড়ায়, লিভার পরিষ্কার রাখে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, এমনকি ত্বক ও চুলের যত্নেও কার্যকর। তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা বা অপকারিতাও আছে, বিশেষ করে অতিরিক্ত খাওয়া বা বিশেষ অবস্থা যেমন গর্ভাবস্থায়।
করলা খাওয়ার উপকারিতা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃকরলায় এমন উপাদান আছে যা রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ইনসুলিনের মতো কাজ করে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃকরলা হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীর পাচনক্রিয়া উন্নত করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করেঃকম ক্যালোরি ও বেশি ফাইবারযুক্ত হওয়ায় করলা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরতি রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমায়।
- ত্বক ও চুল ভালো রাখেঃকরলার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের ব্রণ, চুলকানি ও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃকরলায় রয়েছে ভিটামিন C, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- লিভার পরিষ্কার রাখেঃকরলা যকৃত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা ভালো রাখে।
করলা খাওয়ার অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণঃকরলা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়। এতে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে যা জরায়ুতে সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যাঃকরলার তিক্ত স্বাদ অতিরিক্ত হলে পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
- লো ব্লাড প্রেসারের রোগীদের জন্য সমস্যাঃকরলা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, তাই যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকেও কম থাকে, তাদের অতিরিক্ত করলা খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি রক্তচাপ আরো কমিয়ে দিতে পারে।
- অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতাঃকিছু মানুষের শরীর করলার তিক্ত উপাদানে সংবেদনশীল হতে পারে, ফলে চুলকানি, দানা বা অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
করলা খাওয়ার নিয়ম
করলা খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও, সঠিক নিয়ম না মানলে এটি কিছু অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই করলা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়মাবলী মেনে চলা জরুরি। সঠিক সময়, পরিমাণ এবং প্রক্রিয়ায় করলা খেলে এর স্বাস্থ্যগুণগুলি সর্বোচ্চভাবে পাওয়া যায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে যাদের গর্ভাবস্থা, রক্তচাপ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তাদের জন্য করলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই ভূমিকা থেকে বোঝা যায়, করলা খাওয়া শুধু স্বাস্থ্যকরই নয়, সঠিক নিয়মে করলে তা নিরাপদও হয়।
করলা খাওয়ার নিয়ম নিচে দেওয়া হলোঃ
- পরিমাণমতো খাওয়া উচিতঃকরলা খাওয়ার সময় পরিমাণ মেনে চলা খুব জরুরি। সাধারণত দিনে ১-২টি মাঝারি করলা বা আধা গ্লাস করলা জুস খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
- খালি পেটে এড়িয়ে চলুনঃখালি পেটে করলা খেলে হজমে অসুবিধা, বমি বমি ভাব বা পেট ব্যথা হতে পারে। তাই খাবারের পর করলা খাওয়াই শ্রেয়।
- গর্ভবতী নারীদের করলা খাওয়া এড়ানো উচিতঃগর্ভাবস্থায় করলা খেলে জরায়ু সংকোচনের সমস্যা হতে পারে, যা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
- রক্তচাপ কম থাকলে সাবধান হোনঃযাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের নিচে থাকে, তাদের করলা বেশি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি রক্তচাপ আরও কমিয়ে দিতে পারে।
- রান্নার সময় তিতা স্বাদ কমানঃকরলা রান্নায় লবণ, মধু বা লেবুর রস ব্যবহার করলে এর তিতা স্বাদ কিছুটা কমে যায় এবং খেতে সুস্বাদু হয়।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃকরলা খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে এবং হজম ভালো হয়।
করলার পুষ্টিগুণ
- ভিটামিন সমৃদ্ধঃকরলা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ-র একটি ভালো উৎস। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ও দেহের কোষ সুস্থ রাখে। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
- খনিজ পদার্থঃকরলায় পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হাড় মজবুত এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ফাইবার সমৃদ্ধঃকরলার উচ্চ ফাইবার উপাদান হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং লম্বা সময় পেট ভরা রাখে।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানঃকরলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহে ক্ষতিকর মুক্ত মৌল দমন করে, যার ফলে বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর হয় এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
- কম ক্যালোরিঃকরলা কম ক্যালোরিযুক্ত, তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আদর্শ খাদ্য।
খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা
- রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণঃখালি পেটে করলার জুস খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
- ডিটক্সিফিকেশন বা শরীর পরিষ্কারঃ করলার জুস শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে, ফলে লিভার ভালো থাকে এবং দেহের অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার থাকে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধিঃখালি পেটে করলার জুস খেলে পাকস্থলীর কাজ ভালো হয় এবং খাবার হজম সহজ হয়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্যঃকরলার জুস খালি পেটে খেলে মেটাবলিজম দ্রুত হয়, যা অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ করলার জুসে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করেঃকরলার জুস নিয়মিত খেলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ব্রণ কমে।
করলার জুস বানানোর নিয়ম
- করলাঃ ১-২টি মাঝারি আকারের
- পানিঃ ১ কাপ
- লেবুর রসঃ ১ টেবিল চামচ
- মধু বা চিনিঃ স্বাদমতো
- বরফঃ কিছু
- করলাকে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- করলার দুই প্রান্ত কেটে ফেলুন এবং মাঝখান থেকে বীজ বের করে দিন।
- করলাকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ব্লেন্ডারে দিন।
- ১ কাপ পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
- মসৃণ জুস পেতে হলে ছেঁকে নিন।
- লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে স্বাদ মতো তৈরি করুন।
- বরফ দিয়ে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
- করলার তিতা স্বাদ কমাতে জুস বানানোর আগে করলার টুকরোগুলো লেবুর রস বা লবণ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
- নিয়মিত সকালে খালি পেটে করলার জুস খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ওজন কমাতে করলা কিভাবে খাবেন
ওজন কমাতে করলা কিভাবে খাবেন তা নিচে দেওয়া হলোঃ
- সকালে খালি পেটে করলার জুস খাওয়াঃ প্রতিদিন সকালে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস করলার জুস পান করুন। এতে মেটাবলিজম বাড়ে এবং শরীর থেকে ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
- করলা সেদ্ধ বা ভাজি কম খাওয়াঃ করলা রান্নায় কম তেল ব্যবহার করে সেদ্ধ বা হালকা ভাজি হিসেবে খান। বেশি তেল বা মশলা দিলে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে।
- করলা সঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃকরলার সাথে প্রোটিন ও সবজি সমৃদ্ধ খাবার খেলে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- দিনে এক থেকে দুই বার করলা খানঃদিনে বেশি না হলেও ১-২ বার নিয়মিত করলা খাওয়া ওজন কমাতে কার্যকর।
- করলার তিক্ত স্বাদ কমাতে লেবু বা মধু ব্যবহার করুনঃকরলার তিতা স্বাদ কমাতে রান্নায় বা জুসে একটু লেবুর রস বা মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, যা খাওয়া সহজ করে।
- জল বেশি পান করুনঃকরলা খাওয়ার সাথে প্রচুর পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে এবং ওজন কমানো সহজ হয়।
রূপচর্চায় করলার ব্যবহার
- করলা বাটে বা রস করে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান।
- ১০–১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে ২–৩ বার ব্যবহার করলে ব্রণ ও ফুসকুড়ি কমে যাবে।
- করলার রসের সাথে এক চামচ মধু ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন।
- মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
- এটি ত্বকের দাগ কমায় ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- করলার রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।
- সপ্তাহে ১–২ বার ব্যবহার করুন।
- এতে চুল পড়া কমে ও চুলের গোড়া শক্ত হয়।
- করলার রস তুলো দিয়ে চোখের নিচে লাগান।
- ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন
- এটি চোখের নিচের কালচে ভাব হ্রাসে সাহায্য করে।
- করলা পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।
- এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
শেষ কথা/করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।করলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন সবজি, যা নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, হজম শক্তি বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস এবং ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে অতিরিক্ত বা অনিয়মিতভাবে করলা খাওয়া কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যেমন পেটের গ্যাস, মাথা ঘোরা, অথবা রক্তচাপ হ্রাস।
বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের করলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আরো এরকম তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ওপাশে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এনি টিপস বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url