গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে কি উপকারিতা হবে

 গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে এই পোস্টটি আপনাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কারন গর্ভাবস্থায় অবস্থায় অনেক সতর্ক থাকা দরকার। এজন্য কিছু খাওয়ার আগে সবকিছু জেনে শুনে খাওয়া উচিত। 



আপনারা আরো জানতে পারবেন ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ, গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে কি উপকার পাওয়া যায় , ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ও ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে কি করা যায় এই সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছু  তথ্য জানাবো ।জানতে হলে পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন।

পেজ সূচিপএঃ  ড্রাগন ফলের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলে উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানবো। কারণ গর্ভাবস্থায় অনেক সতর্ক থাকা হয় এইজন্য খাওয়া দরক। তাই আমরা এ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানব গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা কতটুকু এই বিষয়ে চলুন জেনে আসি।

এই বিষয়ে জানার আগে ড্রাগন ফল খাওয়া গর্ভাবস্থায় সুরক্ষা রয়েছে কিনা সেটা আগে আমরা জানব আর খাওয়া উচিত হবে কি এ বিষয়ে জানব। আমরা অনেক বিশেষজ্ঞ দের কাছে জিজ্ঞাসা করছি এই বিষয়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন ড্রাগন ফল খাওয়া কোন ক্ষতি নেই বরং অনেক উপকার রয়েছে। তবে এই ফলটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম মত খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকে। আর কি কি উপকার রয়েছে আর নিয়মগুলি চলুন জেনে আসি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ ড্রাগন কোন রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। গর্ভবতী মায়ের শরীলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ।তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন সঠিক নিয়ম মত মাকে ড্রাগন ফল খাওয়ানোর কথা বলেন।

হজমের সমস্যা দূর করতেঃ আমরা জানি গর্ভাবস্থায় অনেক হজমের সমস্যা হয়ে থাকে ।তাই আমাদের  গর্ভবতী মাকে সঠিক নিয়মে ড্রাগন ফল খাওয়ানো দরকার। কারণ ড্রাগন ফলিক  অ্যাসিড এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর হজম বৃদ্ধি করে থাকে।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া অনেক উপকারি। এটি রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে ড্রাগন ফলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে যার জন্য উৎপাদনও অনেক বাড়ছে।

নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে রক্ত শুন্যতা জনিত সমস্যা দূর করে।

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ

 ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। ড্রাগন ফলে ভিটামিন এ ভিটামিন সি খনিজ পদার্থ পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি রয়েছে। এগুলো প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে চলুন জেনে আসি

প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে সেগুলো হলঃ

  • ক্যালোরি -৬০ গ্রাম
  • ফাইবার - ২ গ্রাম
  • ভিটামিন সি ২৭%
  • চিনি -১২ গ্রাম
  • প্রোটিন - ২ গ্রাম
  • চর্বি - ১ গ্রামের ও কম 
  • পটাশিয়াম - ৮%
  • ম্যাগনেসিয়াম - ১০%
  • ভিটামিন বি ৬ - ১২%
  • আইরন -০. ৬৫ মিলিগ্রাম 

ড্রাগন ফলের পরিচিতি

 এটি এক প্রজাপতি ফল, এক ধরনের ফনিমনসা (ক্যাকটাস) প্রজাপতির ফল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে মিষ্টি প্রীতিয়া ড্রাগন ফল হিসেবে পরিচিত। আমরা অনেকেই শুনেছি রূপকথার গল্পের ড্রাগন নামে কিছু ছিল। ড্রাগন ফল মূলত লাল হয়  এবং সাদা হয়। ড্রাগন ফলের খোসা উপরে লাল রঙের হয়।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন ফল  আমাদের  দেশীয় ফল না এটা বাহিরে দেশের ফল। বর্তমান আমাদের দেশে এই ফল আশায় চাহিদা অনেক বেশি আর আমাদের দেশেও ড্রাগন ফলের চাষাবাদ বেশি। এই ফলটি অনেক পুষ্টিকর ও  সুস্বাদু একটি ফল। দিন দিন এই ফলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। প্রথমদিকে মানুষ এই ফল খেতেই চেতনা কিন্তু বর্তমান চাহিদা দিন দিন খেতেও আগ্রহী । আমরা এখন জানবো ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম চলুন জেনে আসি।

প্রথমে আপনাকে ড্রাগন ফল সংগ্রহ করতে হবে সেটা হোক বাজার বা বাগান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। এরপর ছুরি দিয়ে দুই ভাগ করে নিতে হবে। ফল লাল বা সাদা রং এর হতে পারে । যেটাই হক ফল টা  ফালা ফালা করে কেটে নিতে হবে।কাটা হলে এখন খেতে পারেন। আর এই ফল টা জুস বা সালাদ করে খেতে পারেন।

ড্রাগন ফল খেলে কি ওজন বাড়ে

 ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে। ক্যালোরি কম থাকায় এই ফল খেলে ওজন বাড়ার কোন আশঙ্কা নেই। এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম ফাটিয়েড বিটা ক্যারোটিন লাইকোপেনিক মত আরও ফাইবার আইরন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই এই ফল খেয়ে ওজন বাড়ার কোন আশঙ্কা নেই। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের এই ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। 

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

 ড্রাগন ফলে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপযোগী একটি ফল। তেমন ড্রাগন ফলের খোসা ও ফেলার জিনিস নয় এটার ও অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। চলুন জেনে আসি এর ঔষধি গুন কি কি।

  • রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে
  • চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে
  • চুলের বৃদ্ধি করে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
  • রক্তশূন্যতা দূর করে ওজন কমাতে সাহায্য করে

আমাদের শেষ কথা 

আমরা আজকে জানলাম ড্রাগন ফলের একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কতটা খাওয়া জরুরি। আর এই ফল খাওয়া কতটা উপকারী সকল মানুষের। আজকে আমরা গর্ভবতী মা এবং অন্য সকল বিষয়ক আলোচনা করা হয়েছে এই ফলের বিষয়। তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গর্ভবতী মায়ের। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছন। তবুও আপনি ভালো থাকার জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী এই ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

 আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় পানি কতটুকু প্রয়োজন



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এনি টিপস বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url