সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। সাগর কলা নয় শুধু অন্য কলা গুলোতেও অনেক পুষ্টি রয়েছে । শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য কলা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। সাগরকলা প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়। কারণ এর ফলন অনেক ভালো ও অধিক। তাই অন্যান্যা ফলের তুলনায় দাম কম যা সব মানুষ কিনে খেতে পারে।
এছাড়া সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বা সাগর কলা খেলে কি উপকার
পাওয়া যাবে সকালবেলা খাওয়ার উপকারিতা কি রয়েছে এ সম্পর্কে আজকের পুরো
আর্টিকেলটা জানানো হয়েছে। তাই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণটা ভালো করে পড়ুন।
পেজ সূচিপএঃ সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা
- সাগর কলা খাওয়ার অপকারিতা
- সাগর কলার পুষ্টিগুণ
- সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা কি কি
- রাতে কলা খেলে কি কি উপকার হয়
- গর্ভাবস্থায় কাচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
- কলা খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
- দুধ ও কলা একসাথে খাওয়ার উপকারিতা
- শেষ কথা/ সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা বিভিন্ন ধরনের কলা খেয়ে থাকি কিন্তু জানি না কোন কলার মধ্যে কতটা উপকার
পাওয়া যায়। আমাদের আশেপাশে যেসব কলা পাওয়া যায় তার মধ্যে সাগর কলার উপকার
বা কার্যকারী ক্ষমতা অনন্য কলা থেকে অনেক ভালো। সাগর কলায় বিভিন্ন
উপকারিতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়ঃ নিয়মিত সাগর কলা খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরের
রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করবে। কেননা সাগর কলার মধ্যে রয়েছে
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাইতো গর্ভবতী মহিলাদের নিয়মিত
সাগর কলা খাওয়ার পরামর্শ দেয়। যাতে করে পরিমাণ বেশি থাকে এবং বাচ্চা
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।
ক্ষমতা আরো বেশি বা কারো কম। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা দুর্বল
তাদের জন্য সঠিক পরামর্শ সাগর কলা হওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে রোগ
প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
হাট ভালো রাখতেঃ বর্তমানে সব মানুষের হাটের সমস্যা হয়ে থাকে। আর যাদের
সমস্যা তারা নিয়মিত সাগরকলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ নিয়মিত কলা খেতে পারলে
রক্তের সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। এর ফলে হার্টের সমস্যা
থাকলে সাগরকলা খেলে সমস্যা দূর হবে। আবার যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে
তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী সাগর কলা খাওয়া।
আরো পড়ুনঃদুধে কাচা হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
ত্বকের জন্য ভালোঃ সাগর কলায় থাকা আন্টি এক্সিডেন্ট ত্বকে ফ্রিতে রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ সাগর কলায় থাকা পুস্টি উপাদান মানসিক চাপ কমাতে মস্তিষ্কে্র কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হজমে সাহায্য করেঃ সাগর কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়াকে
সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সাগর কলা খাওয়ার অপকারিতা
সাগর কলা খাওয়ার অপকারিতা থেকে সাগর কলার উপকারিতা বেশি। কিন্তু অনেকের
সাগর কলা খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় আর সেই সম্পর্কে জানতে
নিচে বিস্তারিত পড়ুনঃ
- ঠান্ডা লাগা অবস্থায় সাগর কলা না খাওয়াই ভালো।
- বেশি পরিমাণে সাগর কলা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের সাগর কলা না খাওয়াই ভালো।
- খালি পেটে সাগর কলা খাওয়া ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়।
- বেশি পরিমাণে সাগর কলা খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
- সাগর কলায় শর্করা পরিমাণ বেশি থাকার ফলে সাগর কলা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করলে ভাত হয় হতে থাকে।
- এ কলায় এমনই এসিড পরিমাণে বেশি রয়েছে তার ফলে শরীরে বিভিন্ন এমাইনো এসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে ও সমস্যা হতে পারে।
সাগর কলার পুষ্টিগুণ
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা কি কি
সকালে কলা খেলে কিছু উপকারিতা রয়েছে। তবে খালি পেটে খেলে কিছু সমস্যা
হতে পারে। কলার প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল
রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে খালি পেটে খেলে হজমের সমস্যা বা
রক্তে শকরার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে ,বিশেষ করে যাদের ডায়বেটিস এর
সমস্যা আছে।
সর্তকতাঃ যদি আপনারা হজমের সমস্যা বা ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে সকালে খালি পেটে
কলা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
রাতে কলা খেলে কি কি উপকার হয়
গর্ভাবস্থায় কাচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
অবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
গর্ভাবস্থায় সবকিছু নিয়মমাফিক ভাবে খাদ্য গ্রহণ সঠিক সময় এবং পুষ্টিকর
খাদ্য খেতে হবে। মহিলাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় এই গর্ভাবস্থার
সময় । আলাপের মধ্যে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। সেটা হোক বাঁকা কলা বা কাঁচা
কলা দুটোই খুবই উপকারি। গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খেলে যেসব উপকার আপনি পাবেন
তা নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
- কাঁচা কলা খেলে রক্তের চাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- গর্ভের বাচ্চা স্নায়ু বাড়াতে এবং বাচ্চার মস্তিষ্ক গঠন করতে সাহায্য করে।
- ফাইবার বাড়ানোর উপসর্গ হিসেবে কাজ করে এবং ভিটামিন সি বাড়াতে সাহায্য করে, বাচ্চা দেহ গঠন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- বাচ্চার ওজন সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- পাতলা পায়খানা হলে এই পেট ফাঁপা বদ হজম দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে।
- খাবারের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে এবং পুষ্টির যোগান দিতে সাহায্য করে।
- কাঁচা কলা যে বিশেষ উপাদান রয়েছে শিশু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। কাচা করার বিশেষ উপাদান রয়েছে যার মধ্যে গর্ভাবস্থায় পাকা কলা ও কাঁচা কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে বাচ্চা এবং বাচ্চার মা উভয়ের জন্য অনেক উপকারী হবে।
কলা খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
কলার অনেক উপকারিতা থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত কলা খেলে হজমে সমস্যা, দাঁতের ক্ষয়, মাইগ্রেন, শ্বাস কষ্ট এবং ডায়াবেটিস হতে পারে। এছাড়া যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে তাদের কলা খাওয়া উচিত নয়। ক্ষতি করার দিক নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
হজমের সমস্যাঃ পরিমাণে কলা খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যাদের হজমে সমস্যা আগে থেকেই আছে।
দাঁতের ক্ষয়ঃ কলায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে ।যা দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি
করতে পারে।
মাইগ্রেনঃ যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, ওদের বেশি পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত
নয়। কারণ কলায় পটাশিয়াম বেশি থাকে যা মাইগ্রেন বাড়িয়ে দিতে
পারে।
শ্বাসকষ্টঃ যাদের শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা রয়েছে তাদের বেশি কলা খেলে শ্বাসকষ্ট
বেড়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিসঃ কলায় প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকার অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
কিডনির সমস্যাঃ যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের জন্য বেশি
পটাশিয়ামযুক্ত খাবার ক্ষতিকর হতে পারে তাই পাকা কলা খাওয়া উচিত নয়।
এলার্জিঃ মানুষের কলায় এলার্জি হতে পারে।
এনি টিপস বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url