চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জানুন
চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে ।তাহলে আজকে এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা অনেকেই চুলকানি সমস্যায় পড়ে থাকি। কিন্তু নিম পাতা দিয়ে চুলকায় ঠিক করাবেন সেটা সম্পর্কে হয়তো তেমন কোন ধারণা নেই। সেজন্য আজকে আমি আর্টিকেলে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন। তাহলে এখানে জানতে
পারবেন নিমপাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়, নিম পাতার ফেসপ্যাক, কিভাবে নিমপাতা
ব্যবহার করলে চুলকানি কমে, নিম পাতা দিয়ে ফর্সা উপায় এইরকম বিভিন্ন ধরনের বিষয়
সম্পর্কে জানতে পারবেন। তার জন্য আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ খুব ভালো
করে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
- চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
- নিমপাতা খাওয়ার নিয়ম
- নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- নিম পাতার ফেসপ্যাক
- নিমপাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়
- পেট এবং হজমের জন্য নিম পাতার উপকারী
- ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ভূমিকা
- শেষ কথা/চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা অনেক মানুষ আছি যারা
চুলকানির সমস্যায় ভুগতেছে। বিভিন্ন জায়গায় যে যখন চুলকানি উঠে তখন অনেক
সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কিন্তু বেশি চুলকালে পরবর্তী দেখা যায় সেই জায়গায় ঘা
হয়ে যায়। তাই যদি আপনি চুলকানি দূর করতে চান তাহলে চুলকানিতে নিমের পাতা
ব্যবহার করতে পারেন।
নিমপাতা শুধু ব্যবহার করা যায় না নিমপাতা খাওয়াও যায়। নিম পাতা রস ও নিম পাতার
গুঁড়া করেও খাওয়া যায়। এতে করে চুলকানি জাতীয় সমস্যা ও বিভিন্ন ধরনের
সমস্যায় ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
জানতে পুরো আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন। এতে আপনি পুরো বিষয়টি জানতে
পারবেন।
নিমপাতা খাওয়ার নিয়ম
আমরা অনেকেই জানি না যে নিমপাতা খাওয়া যায় কিনা। নিমপাতা শুধু চুলকানিতে ব্যবহার হয় না। নিম পাতা যে কোন রোগে খাওয়া যেতে পারে। নিমপাতা সাধারণত সকালে খালি পেটে খাওয়ার নিয়ম। পাঁচ থেকে সাতটি তাজা নিমপাতা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। পরামর্শ নেওয়া ভালো। বিশেষ করে যাদের লিভার ও কিডনির সমস্যা রয়েছে।
নিম পাতা খাওয়ার কিছু নিয়ম ও সতর্কতা নিচে দেওয়া হলঃ
সকালে খালি পেটেঃ নিম পাতা সাধারণত সকালে খালি পেটে খাওয়া ভালো, বিশেষ করে এর
রস। এতে হজম শক্তি বাড়েও উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাতটি
তাজা নিমপাতা বা এক থেকে দুই চামচ নিম পাতার গুড়ো খাওয়া নিরাপদ। তবে এটি
নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং বয়সের উপর। আবার নিমপাতা বেটে বা রস করে
খাওয়া যেতে পারে রস করার সময় কয়েক ফোঁটা পানি মেশানো যেতে পারে।
অনন্য খাবারের সাথেঃ নিম পাতার গুড়ো খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় গরম
পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
কিন্তু যাদের কিডনি বা লিভারের সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে
নিমপাতা খাওয়া উচিত। গর্ব অবস্থায় সম্ভব এমন নারীদের নিমপাতা বা রস খাওয়া উচিত
নয়। পেটে সমস্যা হতে পারে। তার পরিমাণমতো নিম পাতা খাওয়া উচিত।
নিম পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম
নারী-পুরুষ ওভারে চুলের সমস্যা নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে থাকেন। বিভিন্ন
সমস্যা কারণে চুল ঝরে যায়। আবার অনেক সময় চুলের ভিতরে চুলকানির কারণে
চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তবে যদি আপনি নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অনেক উপকার
পাবেন। তবে নিম পাতা তুলে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আর সেই নিয়ম অনুসারে চুলে
ব্যবহার করলে আপনার চুলে অনেক সমস্যা দূর হবে এবং চুল অনেক সুন্দর ও ঝলমলে হয়ে
উঠবে। তাই চলুন জেনে আসি নিমপাতা তুলে দেওয়ার নিয়ম।
- প্রথমে আপনি পরিমাণ মতো নিমপাতা নিন।
- সে নিমপাতা পরিষ্কার পানিতে দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- এরপর ধুয়ে পরিষ্কার করা নিমপাতা পানিতে ভিজিয়ে বেটে নিন।
- এরপর আপনার মাথায় ত্বক ও চুলের গোড়া নিমপাতা পেস্ট ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- এরপরএটি ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত পেজটির মাথায় লাগিয়ে রাখুন।
- এরপর মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহারকরে চুল মাথা পরিষ্কা র ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই সমস্ত নিয়ম যদি আপনি মেনে নিমপাতা চুলে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুলের
যে কোন সমস্যা দূর হবে। এবং চুলের ভিতর যে চুলকানি ভাব থাকবে সেটাও দূর হবে। এবং
আপনার চুল পড়া দূর করবে এবং পাশাপাশি চুল গজাতে সাহায্য করে। নিম পাতা চুলের
জন্য খুবই উপকারী। নিমপাতা রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল,
এন্টিন ফরমেটিং গুণাবলী যা তুলে খুশকি চুল পড়া ও মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে
সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
নিম পাতার ফেসপ্যাক
আমরা অনেকেই বিভিন্ন রকম ফেসপ্যাক তৈরি করে থাকি। কিন্তু কখনো নিম
পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করা হয় না। অনেক সময় দেখা যাবে বিভিন্ন কাজের ফাঁকে
ত্বকের তেমন একটা যত্ন নেওয়া হয় না। এই ত্বকের যত্ন না নেওয়ার কারণে
মুখে ব্রণ বিভিন্ন দাগ পড়ে যায়। তাই যদি আপনি নিমপাতার ফেসপ্যাক তৈরি
করে তাকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের ব্রণ সহ আরো অনন্য দাগ যে গুলো আছে
সেগুলো দূর হয়ে যাবে। এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং দাগ মুক্ত রাতের নিম পাতার
ফেসপ্যাক খুবই উপকারী। তাই চলুন জেনে আসেন নিম পাতার ফেসপ্যাক কিভাবে তৈরি
করা যায়।
প্রথমতঃ নিমপাত/টক দই ও বেসন এ প্যাক বানানোর জন্য প্রথমে হাফ টেবিল চামচ টক দই
ও এক চামচ বেসন এবং এক চামচ নিম পাতার গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর
পুরো পেস্ট টুকু পুরো মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট
অপেক্ষা করে পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি সপ্তাহে অন্তত দুই
দিন মুখে ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার ত্বকের ব্রণ খুব দ্রুত দূর করে আপনার
ত্বক অনেক উজ্জ্বল করে তোলে।
দ্বিতীয়তঃ নিমপাত/ দুধ/চন্দনের গুড়া প্যাক বানানোর জন্য প্রথমে হাফ
চামচ নিমপাতা বাটার পেস্ট এক চামচ চন্দনের গুড়া ও এক চামচ দুধ
একসঙ্গে মিশ্রণ করে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। ভালো করে পুরো মুখে
পেস্টি লাগিয়ে নিতে হবে। এভাবে করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি
দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে ত্বক মুসলিম রাখতে সাহায্য করে।
নিমপাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়
পেট এবং হজমের জন্য নিম পাতার উপকারী
নিমপাতা পেটের সমস্যার জন্য একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এটি হজম শক্তি
বাড়ায় এবং অন্তর পরিষ্কার রাখে। নিম পাতা খেলে এবং অম্বল দূর করে। অম্বল
সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। নিম পাতার রস পান করলে হজম শক্তি উন্নত
হয়। নিমপাতা অন্তকে ক্ষতিকারক পরজীবী ধ্বংস করে এবং অন্তত সুস্থ
রাখে। সকালে নিম পাতার রস খাওয়া অনেক উপকারী।
ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ভূমিকা
ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে মানুষ নানা ধরনের টোটকা ব্যবহার করেন। এর মধ্যে নিম
পাতা অন্যতম। নিম পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ যা মূলত তিক্ত ও কসাই রস প্রধান এবং
লঘু ও রক্ষক যুক্ত করে। এভাবে করে নিম পাতার রস নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে আসবে। আর বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে
পারেন।
এনি টিপস বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url