গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জানুন

   গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভূসি খাওয়ার নিয়ম জানুন। গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলারা ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম জানেন না। কিভাবে খেলে তাদের উপকার হবে সেই নিয়ম না জেনে তারা খেতে থাকে। এর ফলে ইসুকুলের বসে তাদের কোন উপকার আসে না বরং ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যে কোন জিনিস না জেনে খেলে স্বাস্থ্যের ঝুকি থাকে। তাই চলুন জেনে আসি বিস্তারিতভাবে।

গর্ভাবস্থায়-ইসবগুলের-ভুসি-খাওয়ার-নিয়ম

গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুষি খাওয়া অনেক উপকার। আপনি যদি সঠিক নিয়ম ভুলের বুঝে খেতে না পারেন তাহলে আপনার উপকার না হয় অপকার হয়ে যাবে। আজ পুরো আর্টিকেলে আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম 

 গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম 

গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেক মহিলারাই জানিনা। কোন নিয়ম অবিলম্বন মেনে খেতে হবে সেইগুলো জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়তে থাকুন তাহলে বুঝতে পারবেন।গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়া অনেক উপকার। শুধু গর্ভাবস্থায় মহিলারা নয় আমরা সকলেই খেতে পারব। আর গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। তবুও গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলারা যদি নিয়মিত খাওয়া চিন্তাভাবনা করেন তাহলে ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন। গর্ভাবস্থায়  সময় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয় সে কারণে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া দরকার। তাই পরিমাণ মতো নিয়ম করে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। তাই আপনারা সকলে নিয়মিত করে ইসবগুলের ভুসির শরবত খান।গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম বিষয়ে বিস্তারিত নিচে জানানো হবে।

গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যাবে। কারণ ইসবগুলের ভুসি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলারা কোষ্ঠকাঠিন্য ও প্রসাবে ইনফেকশন সমস্যায় ভুগেন তাই তাদের জন্য ইসবগুলের ভুসি খাওয়া খুবই জরুরী। কারণ যন্ত্রণাদায়ক অনেক মানুষ সহ্য করতে পারে না। তবে নিয়ম ঠিকঠাক রেখে খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় থাকার সময় যদি আপনি সঠিক নিয়ম মেনে ইসবগুলের ভুসির দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। তাহলে অনেক উপকৃত পাবেন। তাহলে খুব দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য ও প্রসাবে ইনফেকশন সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন ঘুমানোর আগে শরবত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন তাহলে এতগুলো ঘুষির যত গুনাগার আছে সবগুলি রাতে কাজ করবে। 

আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ 

ইসবগুলের ভুসির খাওয়ার উপকারিতা

আমরা এতক্ষণে জেনেছি গর্ভবতী মহিলাদের ইসবগুলের ভুসি খেলে কতটা উপকার পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে। এটা শুধু একজন গর্ভবতী মহিলারা না সবাই খেতে পারবে তাদের শরীরকে সঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। একজন সাধারণ মানুষের নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ফলে অনেক ধরনের উপকার হতে থাকে। একজন গর্ভবতীর জানা দরকার যে গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম আর সেই জন্য নিচে  পড়তে থাকুন।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ অনেক মানুষেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। তবে কারো দীর্ঘ সময় হয়ে থাকে আবার কারো খুব অল্প সময়ের ভালো হয়ে যায়। আর কি খবর যখন দেখবেন আপনার দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে। তখন ঘরোয়া ভাবে সেই সমস্যার সমাধান করবেন। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খেতে হবে। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ফলে আপনার গ্যাসের সমস্যা খুব দ্রুত ভালো করতে পারে।

প্রসাবের ইনফেকশনঃ আমাদের ভিতরে অনেক মানুষ আছে তারা এই সমস্যায় ভুগছেন। প্রসব করতে গেলে সঠিক মতপ্রসাদ করা যায় না বা জ্বালাপোড়ার হয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেতে হবে আপনাদের। আপনারা প্রতিদিন যদি দুই বেলা তিনি ছাড়া ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনারা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

আর এভাবে করে আপনারা নিয়মিত নিয়ম করে ইসবগুলের ভুসি খেলে অনেক উপকারিত হবেন।

গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি শরবতের সাথে মিশিয়ে খাওয়া

আমাদের ভিতরে অনেকে আছে মানুষ যারা পানির সাথে ইসুবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেতে পারে না। তারা চাইলে শরবতের সাথে মিশে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এখন আপনি ভাবতে পারেন কি দিয়ে শরবত বানিয়ে খাব। আপনারা চাইলে আমরা আখের গুড় অথবা খেজুরের গুড় বা লেবুর শরবত এগুলো সচরাচর খেয়ে থাকি। এগুলোর ভিতরে এক চামচ ইসুবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেতে পারেন।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কুসুম কুসুম পানি দিয়ে শরবত বানাতে হবে। এক থেকে দুই চামচের মতো মিশিয়ে নিবেন। এরপর ২০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করে ইসুবগুলের ভুসি যখন ফুলে সাদা হয়ে যাবে তখন আপনারা আবার চামচ দিয়ে শরবত নাড়াচাড়া করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন। এরকম ভাবে যদি খেতে পারেন আপনারা অনেক উপকার পাবেন। কিন্তু হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল  খেলে কি উপকারিতা হবে 

ইসবগুলের ভুসির পুষ্টির উপাদান

ইসুবগুল ভুসির পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি। কারণ এটি খেলে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে না। বরং শরীরের পক্ষে অনেক উপকারী জিনস। আপনি যেই পরিমাণে ইসুবগুলের ভুসি খাবেন সেটি আপনার উপকার হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে ইসুবগুলের ভুসির কোন খারাপ দিক নেই। আপনার হয়তো জানেন না যে কত পরিমাণে ইসুবগুলের ভুসি খেলে কি পরিমানে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। তাই জানতে নিচে পড়ুন।

১০০ গ্রাম ইসুবগুলের ভুষির ক্যালরি থাকে জানলে আপনারা অবাক হবেন। এর উপকারিতা কথা মাথায় রাখলে আপনিও নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করবেন। ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। সেসব উপাদান শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে। এক টেবিল চামচ এসবগুলের ভুষি থাকে ৫৩% % ক্যালরি,০% ফ্যাট,১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আইরন। তাহলে বুঝতেই পারছেন কত উপকার পাবেন ইসবগুলের ভুসি খেলে।

গর্ভাবস্থায়-ইসবগুলের-ভুসি-খাওয়ার-নিয়ম

ইসবগুলের ভুসি কোথায় পাওয়া যায়

ইসবগুলের ভুসি সাধারণত মোদির দোকান, বা হারবাল সামগ্রিক দোকানে ও অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে পাওয়া যায়। নিচে কিছু স্থানে তালিকায় দেওয়া হলো যেখানে ইসবগুলের ভুসি পাওয়া যেতে পারেঃ

  • মুদি দোকানঃ কিছু বড় বড় মুদি দোকানে এসে বলে বসে পাওয়া যায়
  • হারবাল সামগ্রীর দোকানঃ এই ধরনের দোকান প্রাকৃতিক পণ্য পাওয়া যায় যার মাধ্যমে এসব গুলোর মধ্যে ইসবগুলির ভুসি একটি অন্যতম।
  • অনলাইন ই-কমার্স সাইটঃ রকমের ডটকম অথবা জিজিএ ডট কম এবং বলে বসে কিনতে পারেন।
  • ফার্মেসিঃ কিছু ফার্মেসিতে ও ইসুবগুলের ভুষি পাওয়া যায়, বিশেষ করে খাদ্য তালিকা সম্পূরক পাওয়া যায়।
আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন কোথায় কোথায় ইসবগুলের ভুসি পাওয়া যেতে পারে। আপনারা তাহলে এভাবেই সংগ্রহ করে খেতে পারবেন। 

গর্ভাবস্থায় রাতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় রাতে ইসবগুলের ভুসি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে এবং হজম প্রক্রিয়ার সহজ হতে পারে।ইসবগুলির ভুসি পানি শোষণ করে মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং নরম করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যার যা হরমোনের পরিবর্তন এবং জরায়ুর আকারের কারণে হয়ে থাকে। সাহায্য করতে পা্রে।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়মঃ১-২ এক গ্লাস পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মিশিয়ে দ্রবনটির সঙ্গে সঙ্গে পান করুন।

সতর্কতাঃ গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবার বা ওষুধের ব্যবহার আগে অবশ্য ডাক্তার পরামর্শ নিন।ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত কারণ এটি পানি শোষণ করে।

ইসবগুলের ভুসি খেলে কি ওজন কমে

হ্যা, ইসবগুলের ভুসি খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ইসবগুল একটি খাদ্য আঁশ যা পেট ভরা থাকার অনুমতি দেয় এবং চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমায়। এতে থাকা খাদ্য আর ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখে। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপ এবং বডি মাছ ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণের সহায়ক।

ওজন কমানোর জন্য ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার কিছু উপায়ঃ

সকালের খালি পেটে দুই চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিমিটার পানি ও এক থেকে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।

খাওয়ার পর দুই চামচ গুল তিন চামচ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।শরীরের চর্বি কমা এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।

গর্ভাবস্থায়-ইসবগুলের-ভুসি-খাওয়ার-নিয়ম

ইসবগুলের ভুসির দাম কত

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ইসবগুলের ভুসির চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। যার কারনে দামের দিক দিয়ে কোন কমতি নেই। কিছুদিন আগে আপনি যে দামে কিনেছিলেন সেই দামে এখন আর আপনি পাবেন না। তবে কিছু কিছু জায়গায় যাচাই-বাছাই করে যদি কিনতে পারেন তাহলে কম দামে পাবেন।

সচরাচর বাংলাদেশী দামে বিক্রি হচ্ছে সেই দাম জেনে নিন এখন। সাধারণ বাজার থেকে আপনি যদি খুচরা ভাবে কিনেন তাহলে এক কেজি ২১০০ টাকা লাগবে। দুই থেকে তিন মাস আগেই ছিল ১৬০০ টাকা। এই সময়ের মধ্যে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা বেড়ে গেছে। তাহলে বুঝতে পারছেন কি পরিমাণে চাহিদা ইসবগুলের ভুসির।

শেষ কথা/গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায়ী ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম এরই মাধ্যমে আমরা জেনে গেছি। ইসবগুলের ভুসি কখন খেলে উপকার বেশি হবে এবং গর্ভাবস্থায়ী  ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার কতটা জরুরী সেই সম্পর্কে। আর একজন গর্ভবতী মায়ের এ সময় বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ে থাকে। বিশেষ করে বেশিরভাগ সমস্যা গুলো হয় পে্টের।
 তাহলে বুঝতে পারছেন প্রতিটা মানুষের  ইসবগুলের ভুসি খাওয়া  কতটা জরুরি। এছাড়া যারা সুস্থ মানুষ তাদের জন্য খাওয়া উচিত। আশা করি গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম  বিষয়ে জানাতে পেরেছি যাতে করে তারা পরবর্তী সময়ে যেন কোন সমস্যা না পড়ে। এরকম আরো তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটে ফলো করুন।





 








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এনি টিপস বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url